সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে নতুন করে সুদের হারে পরিবর্তন আনা হয়নি। কর্মকর্তারা নতুন নিয়ম চালুর কয়েকটি উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছেন। প্রথমত, সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টেনে ধরা। দ্বিতীয়ত, নতুন করদাতা খুঁজে বের করা।




জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে বাজেট ঘোষণার পর থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে সঞ্চয়পত্র ক্রয় কিছুটা কঠিন করা হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা কী করতে পারেন, কী পারেন না। আয়ের কতটা সঞ্চয় করা উচিত? কিভাবে? যেসব পরিবর্তন এসেছে।




তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্যৎ তহবিল থাকে, সেখান থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। আগে এক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্ধারণ করা ছিল না। কিন্তু এখন এক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এটি সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত কেনা যাবে।




জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যাংক হিসেবে যদি ৫০ লাখ টাকা জমা থাকে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান এর অর্ধেক টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। অর্থাৎ ব্যাংকে যখন যত টাকা জমা থাকবে, তার অর্ধেক টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে।




ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে টিআইএন (ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশ নম্বর) সার্টিফিকেট জামা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু সেটি এখন তুলে নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যারা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করবেন, তাদের টিআইএন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা