
দুর্গতি কাটলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা একের পর এক হারে রীতিমত ভেঙে পড়েছিল। টানা আট হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো দলটি।




রোহিত শর্মাকে যেন তার জন্মদিনের উপহার দিলেন সতীর্থরা। শনিবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়েছে মুম্বাই।




রোহিতের ৩৫তম জন্মদিন। টসভাগ্য সহায়ই ছিল। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই দলপতি। বোলাররা ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে আটকে রাখেন রাজস্থানকে।




কিন্তু রান তাড়ায় নেমে রোহিত নিজে সুবিধা করতে পারেননি। জন্মদিনে আউট হন মাত্র ২ করে, মলিন মুখে ফেরেন সাজঘরে। তার সেই মলিন মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সতীর্থরা।




দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথ গড়ে দেন সূর্যকুমার যাদব (৩৯ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫১)। তিলক ভার্মা করেন ৩০ বলে ৩৫।




শেষদিকে টিম ডেভিড ৯ বলে অপরাজিত ২০ রান করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন। তবে জয়সূচক রানটি আসে ড্যানিয়েল স্যামসের ব্যাট থেকে। তিনি একটি বলই মোকাবেলা করেন, কুলদ্বীপ সেনের ওই বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন স্যামস।




এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা ভালোই চেপে ধরেছিলেন রাজস্থান ব্যাটারদের। এমনকি জস বাটলারও তার স্বভাবজাত ব্যাটিং ছেড়ে মন দিয়েছিলেন উইকেট টেকানোয়।




সেই বাটলার শেষ পর্যন্ত খোলস ছেড়ে বের হলেন। ঋত্বিক শোকের এক ওভারে টানা চার বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরিও করলেন। কিন্তু পুঁজিটা প্রত্যাশিত হয়নি রাজস্থানের। শেষ ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারা দলটি ৬ উইকেটে তোলে ১৫৮ রান।




টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীর শুরু করেন দেবদূত পাডিক্বেল আর জস বাটলার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পাডিক্কেল সাজঘরে ফেরেন ১৫ বলে ১৫ করে।
শুরুটা ভালোই করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ঋত্বিক শোকেনের করা ইনিংসে সপ্তম ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান রাজস্থান অধিনায়ক। কিন্তু পরের ওভারেই কুমার কার্তেকিয়ার স্পিনে ধরা পড়েন স্যামসন (৭ বলে ১৬)। আপার কাট করতে গিয়ে ক্যাচ হন ডিপ পয়েন্টে।
৫৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর খোলসে ঢুকে পড়েন বাটলার আর ড্যারেল মিচেল। তাদের ৪১ বলে ৩৭ রানের ধীরগতির জুটিটি ভাঙে মিচেল সাজঘরে ফিরলে (২০ বলে ১৭)।
বাটলারও ঠিক নিজের মতো খেলতে পারছিলেন না। ৪৬ বলে তোলেন ৪৩ রান। অবশেষে তিনি স্বরূপে ফেরেন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। ডানহাতি স্পিনার ঋত্বিক শোকেনকে ওভারের প্রথম চারটি বলেই ছক্কা হাঁকান বাটলার।
ওই ওভারেই শেষ বলে অবশেষে লংঅফে ক্যাচ দেন বাটলার। ৫২ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় রাজস্থান ব্যাটারের ইনিংসটি ছিল ৬৭ রানের।
এরপর ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৯ বলে ২১ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন তিনি। কিন্তু সিমরন হেটমায়ারের মতো ব্যাটার প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
মেরেডিথের ওই ওভারে পরের পাঁচ বলে মাত্র ৩ রান নিতে পারেন হেটমায়ার, ১৪ বলে মাত্র ৬ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। তাই রাজস্থানের ইনিংসটাও প্রত্যাশা মতো বড় হয়নি।
মেরেডিথ ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ঋত্বিক শোকেন ২ উইকেট পেলেও ৩ ওভারেই দেন ৪৭ রান।